বিএসএমএমইউতে ২০০ কিট জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জমা দেওয়া মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত 'জির্ যাপিড ডট বস্নট' কিট -যাযাদি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্ত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০০ কিট জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বুধবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে কিট জমা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, 'বিএসএমএমইউ আমাদের কাছে ২০০ কিট চেয়েছিল। আমাদের কিট প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর ড. মহিবুলস্নাহ খন্দকার এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিজন কুমার শীল মাইক্রোবায়োলজি বিভগে গিয়ে তাদের চাহিদামতো ২০০ কিট জমা দিয়েছেন। আশা করি, দ্রম্নত এটার ফলাফল জানা যাবে।' তিনি আরও বলেন, কিটের সঙ্গে পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা পরবর্তীতে নেওয়ার কথা বলেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'কার্যকারিতা পরীক্ষায় কোনোক্রমেই সাত দিনের বেশি সময় লাগা উচিত নয়। আশা করি, এ সময়ের মধ্যে আমরা একটি পজিটিভ ফল পাব এবং দেশবাসীর জন্য এ কিট পর্যাপ্ত করে দেব।' বিএসএমএমইউতে হস্তান্তর শেষে মহিবুলস্নাহ খন্দকার বলেন, 'বিএসএমএমইউ কমিটি গতকাল মঙ্গলবার আমাদের কাছে কিটের নমুনা চেয়েছিল।' 'আমার আজকে প্রথম দফায় কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট দিয়েছি। আমরা কমিটিকে বলেছি ওনাদের যদি কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা হয়, আমরা ওনাদের সাহায্য করব,' বলেন তিনি। এর আগে জাফরুলস্নাহ চৌধুরী জানান, করোনা নির্ণয়ক অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন দুটি ভিন্ন হলেও দুটিতেই সফলতা পেয়েছেন তারা। তবে বিএসএমএমইউ কমিটি অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট চাইলে তারা সেটি কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য জমা দেয়। পরবর্তী সময়ে অ্যান্টিজেন চাইলে সেটিও দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা। তিনি বলেন, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। আমাদের যত সক্ষমতা আছে, সবকিছু নিয়েই একে মোকাবিলা করতে হবে। এই গুরুত্বটি সবাইকে বুঝতে হবে। কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় বিএসএমএমইউর বিলম্ব দেখে গত সোমবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের উদ্ভাবিত কিট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে সাময়িক সনদ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করার জন্য চিঠি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপর ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে।