করোনার চেয়েও শক্তিশালীদের শক্তি কোথায়: রিজভী

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট 'দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। যেভাবে ক্রমশ বেড়ে চলছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে সামনের দিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছি।' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারা যে করোনার চেয়েও শক্তিশালী, তাহলে এখন সেই শক্তি কোথায় গেল? এখন কেন তারা ঘরের ভেতর বসে শুধু অসত্য ও বিভ্রান্তির ধারাবিবরণী দিচ্ছেন? বুধবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার লাভের পর থেকেই স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। এর ওপর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সরকার বণিকদের সঙ্গে আপস করতেই শিথিল এ লকডাউন। এতে করোনা বিস্তারের পথ আরও প্রশস্ত করা হলো। দেশজুড়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা এখনো নড়বড়ে। একদিকে যেমন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না, অন্যদিকে অন্যান্য জটিলতার রোগীরাও চিকিৎসা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, মরণঘাতী করোনা ভীতির মধ্যেই আরেক আতঙ্ক সারাদেশে 'ত্রাণ চুরি'। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ত্রাণ চুরিতে মেতে উঠেছেন। আমরা বলেছিলাম, এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণ প্রতিবাদ করলে আইসিটি আইনে মামলা করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল মিডিয়ায় প্রতিবাদী মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ ভয়াবহ দুর্দিনেও ক্ষমতাসীনরা দেশকে মগের মুলস্নুকে পরিণত করেছে। কিছু বন্ধ কিছু খোলা, এই বন্ধ এই খোলা, সিদ্ধান্তহীনতা ও ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদলের অস্থিরতা, আয়হীন মানুষের হাতে খাদ্য ও বাঁচার উপকরণগুলো পৌঁছাতে ব্যর্থতা, ছুটি না লকডাউন তা নিয়ে ধোঁয়াশা এবং এসবের কারণে মানুষের বাইরে আসা আর এই বাইরে আসার জন্য সরকারের সব ব্যর্থতার দায় জনগণের ওপর চাপাবার চালাকি করা হচ্ছে। রিজভী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সারাদেশে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এক যুগ ধরে ক্ষমতাসীনদের জেল-জুলুম হয়রানি ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার। তারপরও জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে জনগণের দল হিসেবে বিএনপি বসে নেই। কোথাও কোথাও আমাদের যেমন ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তেমনিভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অপরদিকে নিরাপদ স্থানে বসে গণমাধ্যমে সরকারের মন্ত্রী ও তাদের নেতারা বিএনপির এ মহতী উদ্যোগের বিরুদ্ধে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছেন।