প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন

৫০ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা প্রদান

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন
কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে ঈদ উপলক্ষে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে এসব সুবিধাভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ পাঠানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে সরকারপ্রধান গণভবন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং/অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা সংবলিত বোতাম টিপে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশের যারা একেবারে ভাসমান মানুষ রয়েছে, নির্মাণশ্রমিক আছে, গণপরিবহণ শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, রেলওয়ে কুলি, মজুর, ঘাট শ্রমিক, নরসুন্দর, রিকশা, ভ্যান গাড়িচালক, নিম্নবিত্ত আয়ের লোকসহ বিভিন্ন ধরনের মানুষ যারা দৈনন্দিন কাজ করে খেত, একটু চা বিক্রি করে খেত বা একটা দোকান দিয়ে খেত, তাদের কোনো কাজ নেই। কারণ, মানুষ যাতায়াত করে না। তাদের কাজ থাকবে কোত্থেকে? অফিস-আদালত বন্ধ। সেখানে তারা শ্রম দিতে পারছে না। তাদের যে দিনের আয় সেই আয়ের পথ বন্ধ। 'তাদেরকে কীভাবে এই রমজান মাসে আমরা একটু সাহায্য করতে পারি। সেইভাবে অনেক হিসেব-নিকেশ করে আমরা কিছু অর্থ সাশ্রয় করার চেষ্টা করেছি, কিছু অর্থ আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা করেছি। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রায় আরও ৫০ লক্ষ মানুষকে আমরা সাহায্য দেব।' ওএমএসের মাধ্যমে মানুষ ১০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'তাছাড়া আমাদের সামাজিক যেই নিরাপত্তাবেষ্টনী, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা... বিভিন্ন ভাতাগুলো আছে।' 'সেই ভাতাগুলো যেমন অব্যাহত থাকছে, ভাতাগুলো আমরা দিচ্ছি, বিভিন্ন সহায়তা আমরা দিচ্ছি। আমরা মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছি, মাতৃদুগ্ধদানকারী ভাতা দিচ্ছি- এই রকম বিভিন্ন ভাতা সেই ভাতাগুলো যেমন চালু থাকবে।' এসব সুবিধাভোগী ও ১০ টাকার চালের রেশনকার্ডধারীদের বাদ দিয়ে বাকি যারা রয়ে গেছেন তাদের জন্য কিছু করার চিন্তা থেকে ৫০ লাখ পরিবারের জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, 'যারা সহযোগিতা পান তাদের বাইরে যারা এখন রয়ে গেছেন যারা অন্তত নিজেরা কিছু কাজ করে নিজের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন, তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা তাদের যেই টাকাটা... অন্তত সংগ্রহ করতে পেরেছি এখানে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। এটা আমরা ২ হাজার ৫০০ টাকা করে জনপ্রতি এককালীন নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' 'এই টাকাটা দেওয়ার জন্য আমরা কিন্তু কমিটি করেছি। সেই কমিটিতে বারবার যাচাই-বাছাই করা হয়েছে এবং সেখানে দ্বৈততা পরিহার করার ব্যবস্থা করেছি। যারা একবার পান, যাদের নাম আছে তাদের নাম বাদ যাবে।'