হাসি খুশির দোলায় চড়ে হেমন্ত কাল আসে
ঝলমলানো শিশির পড়ে দূর্বা ঘাসে ঘাসে।
শীতের আমেজ মাদুর বিছায় ভোরের আঙ্গিনায়।
মলিস্নকারা হাসতে থাকে ফুলের বাগিচায়।
প্রজাপতি পাখনা মেলে আনন্দে যায় ছোটে
রং ছড়িয়ে উঠোন কোণে হলুদ গাদা ফুটে।
মাঠে মাঠে ঝন ঝনা ঝন সোনার বরণ ধান,
চাষির বুকে খুশির দোলায় নাচতে থাকে প্রাণ।
গান গেয়ে ধান কেটে চাষি বাঁধে আঁটি আঁটি
সুরে সুরে ওঠে ভরে গাঁয়ের পুরো মাঠই।
পাড়ায় পাড়ায় আরম্ভ হয় নবান্ন উৎসব
বাড়ি বাড়ি গুঁড়ি কোটার মধুর কলরব।
কৃষাণ বধূ বানায় পিঠা হরেক রকম সাজে
মধুর সুবাস ছড়িয়ে পড়ে রান্না ঘরের মাঝে।
বাড়ি বাড়ি কুটুম ফিরে আনন্দ উলস্নাসে
হাসিখুশির দোলায় চেপে হেমন্ত কাল আসে।