মায়ের হাতের বালিশকাঁথা

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

মোজাম্মেল সুমন
মায়ের হাতের বালিশকাঁথায় ভালোবাসা যুক্ত, অনুভবেই মায়ের ছোঁয়া স্বর্গীয় এক সুখ তো! এক শিমুলগাছ ছিল বাড়ির সামনে রাস্তা ঘেঁষে, সঠিক সময় সাদা তুলার হাসি উঠলই হেসে। শিমুল তুলা জমিয়ে মা একটা বালিশ বানান, মা আমাকেই দিবেন ওটা, নরম সুরে জানান। পড়াশোনার জন্য বাসা থেকে যেদিন বের হই, সেদিন হতে আমি মায়ের মতো বালিশের হই। আমি শিমুলতুলার নরম ছোঁয়ায় ঘুমাই রাতে, যেন ঘুমাই মায়ের কোলেই সবচে মমতাতে। মায়ের হাতের তৈরি করা একটা কাঁথা আছে, সেটা দিয়েছিলেন আমায়, যত্নে রাখি কাছে। কাঁথাতে একদিকে সাদাকালো রঙের বাহার, অন্যদিকটায় পরিপাটি লালচে সবুজ তাহার। হলুদ, সাদাকালো ও লাল রঙে সুতোর সীবন, সুরভিত কাঁথায় আমার এই মা-নেওটা জীবন। শীতের রাতে মায়ের কাঁথা গায়ে দিয়ে থাকি, মা আমাকে যেন আঁচল দিয়ে রাখেন ঢাকি। শিশুকালে শীতে পেতাম মায়ের উষ্ণ আদর, এখন মায়ের কাঁথা যেন আমার পরম চাদর। ভালোবাসা মাখা আমায় দেওয়া মায়ের বালিশ, মনখারাপে আমি খুঁজে পাই জীবনের সালিশ। সুঁই-সুতোতে সেলাই করা মায়ের হাতের কাঁথা, ভালো মানুষ হওয়ার উপদেশ ইহাতেই গাঁথা।