তবুও ঘরে ফেরা

ঈদযাত্রায় নৌকায় যমুনা পাড়ি

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ০০:০০

জোবায়েদ মলিস্নক বুলবুল, টাঙ্গাইল
গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার ঢল নেমেছে। শুক্রবার ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ও হেঁটে ঘরমুখো মানুষদের বাড়ি ফেরার প্রতিযোগিতা লক্ষ করা গেছে। এ সুযোগে বাড়তি টাকা আয় করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা (থ্রি-হুইলার), ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান, পিকআপ-ভ্যান, মালবাহী ট্রাকগুলোর চালকরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হতে পুলিশি কড়াকড়ি থাকায় ছোট ছোট নৌকায় যমুনা পাড়ি দিচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। জানা যায়, উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার ১২২ রুটের যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে যাতায়াত করে থাকে। মহাসড়কে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় যাত্রীসাধারণ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ঠেকাতে মহাসড়কের চন্দ্রা, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজসংলগ্ন স্কয়ার এলাকা, গোড়াই হাইওয়ে থানা চেকপোস্ট, মির্জাপুর বাইপাস, টাঙ্গাইল বাইপাস, এলেঙ্গা ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ শতাধিক পয়েন্টে চেকপোস্ট (চকি) বসানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ ওর্ যাবের সদস্যরা ঘরমুখো জনস্রোত ঠেকাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গণপরিবহণ বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে আশেকপুর বাইপাস এলাকায় সিএনজি আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার রীতিমতো অস্থায়ী স্ট্যান্ড বসেছে। এ স্ট্যান্ডের পরিবহণগুলো (বিশেষ করে থ্রি-হুইলার) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন ও ভূঞাপুর পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন যাত্রী। এদিকে, যমুনার গোবিন্দাসী ঘাট, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে গড়িলাবাড়ি ঘাটে পুলিশি তৎপরতা জোড়দার করায় যাত্রীরা ভূঞাপুরের মাটিকাটার পাশে ভাবির ঘাট ও কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়াবাড়ী নামক স্থান থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা চুপিসারে ছোট ছোট নৌকায় যমুনা পাড়ি দিচ্ছে। এতে থ্রি-হুইলার চালক এবং নৌকার মাঝিদের যেমন বাড়তি আয় হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি। বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) ইফতেখার রোকন জানান, গণপরিবহণ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যাত্রী বেড়েছে। এ সুযোগে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, কেউ কেউ অসুস্থতার অজুহাতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেও বাড়ি ফিরছেন। সন্দেহজনক কিছু গাড়ি প্রবেশে বাধা দেওয়া হলেও বেশিরভাগ গাড়িই সেতু পাড় হচ্ছে।