আম্পানে বরেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২০, ০০:০০

আসাদুজ্জামান মিঠু, তানোর (রাজশাহী)
ঘূর্ণিঝড় আম্পান রাজশাহীরসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। বুধবার রাত ৮টার পর থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। চলে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। এতে রাজশাহীর অঞ্চলের সবজি ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামে বাড়িঘরের টিন উড়িয়ে ফেলেছে। অনেকস্থানে মাটির কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। ভেঙে চুরমার হয়েছে শত শত গাছপালা। ছিঁড়ে গেছে বিদু্যতের তার। ফলে বুধবার রাত থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিদু্যৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জানা গেছে, সব চেয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন ধান ও সবজি চাষিরা। বোরো ধান কৃষকের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ঘরে উঠাতে পারলেও বাকি ধান এখনো ক্ষেতেই পড়ে আছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। মাটিতে পাকা ধান হেলে পড়ার কারণে বিনষ্ট হতে পারে বলে কৃষকেরা শঙ্কা করছেন। এদিকে জেলার তানোর, মোহপুর ও বাগমারা উপজেলা এলাকায় সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছে। সঙ্গে সরকারি রাস্তার গাছ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর গ্রামের কয়েকজন সবজি চাষি জানান, তাদের পটোল, শসা, কলার মাচা ভেঙে গাছ ছিড়ে ছুটে পড়েছে। এতে অনেক কৃষক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে। তারা সরকারিভাবে ক্ষয়-ক্ষতির কিছু প্রণোদনা চান। গ্রামের মাটির বাড়ির চাল উড়ায় ফেলেছে। অনেক স্থানে মাটির বাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়েছে। জেলার তানোর উপজেলায় বেশিরভাগ বাড়ি-ঘরের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, তার পৌর এলাকার অনেক স্থানে বাড়ি-ঘরে টিন উড়ে গেছে, কোথাও মাটির দেয়াল ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এবং তালিকা করে সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমশের আলী বলেন, ঘূর্ণিঘড় আম্পানের প্রভাব এ অঞ্চলেও পড়েছে। বোরো ধান প্রায় ৯০ ভাগ ঘরে উঠায় কৃষকের ক্ষতিটা অনেক কম হয়েছে। তবে সবজি ক্ষেতের অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। এগুলোর তালিকা করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।