বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের নবনিযুক্ত নবম বিহারাধ্যক্ষ উ. ঞানাসিরি (জ্ঞানপ্রিয়) মহাথের বৌদ্ধ ভিক্ষুকে বরণ করে নেওয়া হয় -যাযাদি
বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের রাজগুরু কেন্দ্রীয় বিহারে নবনিযুক্ত নবম বিহারাধ্যক্ষ উঃ ঞানাসিরি (জ্ঞানপ্রিয়) মহাথের বৌদ্ধভিক্ষুকে রাজকীয় আয়োজনে বরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বিহারে অভিষিক্ত হন।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল বিহারের প্রধান অধ্যক্ষ উপঞ্ঞাজোতা মহাথের (উচহ্লা ভান্তে) মৃতু্যর পর রাজগুরু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহারের প্রধান ভিক্ষুর পদটি শুন্য হয়। বিহারের প্রধান ভান্তের মৃতু্য নিয়ে ধুম্রজালের পর বিহারে একটি প্রাচীন বুদ্ধপূর্তি চুরির শঙ্কায় সিলগালা করা হয়। বৌদ্ধবিহারের মন্দির পরিচালনা কমিটির মধ্যে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। কিন্তু পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আঞ্চলিক পরিষদ এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় গুর, ভিক্ষু পরিষদের সমন্বয়ে বিহারের দায়িত্ব প্রথাগত নিয়মানুসারে বান্দরবান বোমাং সার্কেলের চিফ রাজার কাছে হস্থান্তর করেন। উভয়ের সম্মতিতে বিহারে নবম বিহারাধ্যক্ষ হিসেবে উঃ ঞানাসিরি (জ্ঞানপ্রিয়) মহাথের বৌদ্ধভিক্ষুকে নবনিযুক্ত করেন বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা উচপ্রম্ন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজা পরিবার নিয়ে বৌদ্ধবিহারের দায়ক-দায়িকা'সহ যথাযথ মর্যাদায় পঞ্চশীল গ্রহণপূর্বক ফুল ও ছোয়াই (আহার) দানের মধ্যদিয়ে নবনিযুক্ত বৌদ্ধভিক্ষুকে অভিষিক্ত করেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি কেএস মং, রাজ পরিবার এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বোমাং রাজা উচুপ্রম্ন বলেন, প্রথাগত নিয়মনুসারে বৌদ্ধভিক্ষুকে রাজগুরু বৌদ্ধবিহারে অভিষিক্ত করা হয়েছে।
