হবিগঞ্জে করোনাকালেও বাড়ছে অপরাধ

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ০০:০০

নূরুল হক কবির, হবিগঞ্জ
করোনায় দেশজুড়ে প্রতিদিন বাড়ছে মৃতু্য ও আক্রান্তের সংখ্যা। চলছে লকডাউন। এ অবস্থায়ও হবিগঞ্জে থেমে নেই নৃশংসতা। জেলায় প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৪৫ দিনে শিশু ধর্ষণসহ ঘটেছে দশ হত্যাকান্ড। ২০টিরও অধিক সংঘর্ষে আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক হত্যাকান্ড ও সংঘর্ষের ঘটনায় উৎকণ্ঠায় রয়েছে সচেতন মহল। ঘটনাগুলোর অধিকাংশই পারিবারিক এবং ছোট বিরোধকে কেন্দ্র করে। জানা যায়, ২৬ মে সদর উপজেলার তিতখাই-কাশিপুর গ্রামে পতিত জায়গা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন কালা মিয়া (৬৫)। একইদিন মাধবপুর উপজেলার আড়িয়া গ্রামে দুপক্ষের জমি-সংক্রান্ত সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আঘাতে মারা যান মর্তুজ আলী নামে এক ব্যক্তি। গত ২০ মে চুনারুঘাটের বগাডুবি গ্রামে পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মারা যান রাব্বি নামে এক ব্যক্তি। ১৮ মে নবীগঞ্জের দেওপাড়ায় ৫০০ টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে সৈয়দ আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তার আপন ভাতিজা রুবেল। সম্প্রতি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সাগর সরকার (১৮) নামে এক পিকআপ ভ্যানচালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর গাড়ি ছিনতাই করেছে একটি চক্র। ১৫ মে বানিয়াচংয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বখাটে যুবক রিংকু সরকার। ১৭ মে মাধবপুরে মোড়াশানী গ্রামে বাথরুম নির্মাণকে কেন্দ্র করে মুফতি আব্দুল আহাদ (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে তার বড় ভাই ইদন মিয়া (৫০)। ১২ মে লাখাইয়ের মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ২৫০ টাকার দেনা-পাওনাকে ঘিরে আপন চাচাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন ইব্রাহিম মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক। শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল যায়যায়দিনকে বলেন, কেবল খুন নয়, মানুষ যখন হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়ে তখন যেকোনো ধরনের ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন, হত্যাকান্ডের অধিকাংশই পারিবারিক দাঙ্গা। যে কারণে বিষয়গুলো পুলিশের আগে থেকে জানা ছিল না। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দাঙ্গাবিরোধী ব্যাপক প্রচারাভিযান চলছে।