জামালগঞ্জে সূর্যমুখীর বীজে অপার সম্ভাবনা

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ০০:০০

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনায় চারজন আগ্রহী কৃষক উঁচু জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। এক ফসলি বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা এখন এই ফুল চাষ করে অনেকটাই স্বাবলম্বী। ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশে এই ফুলের চাষ হয়ে আসছে, জামালগঞ্জে এবার প্রথম সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা তাহিরপুর এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টাঙ্গুয়ার হাওড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিরাজ লেক শিমুল বাগানের পাশাপাশি জামালগঞ্জের সূর্যমুখী বাগানও পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। প্রতিদিন ট্রলারে, গাড়ি কিংবা মোটর বাইকে কয়েক শত ভ্রমণ পিপাসুর পদচারণায় জামালগঞ্জের এই নয়নাভিরাম বাগান পর্যটক মুখরিত। একদিকে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা, অন্যদিকে ফুল চাষে ব্যাপক লাভে আনন্দের সীমা নেই কৃষকদের। সূর্যমুখী চাষি উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ফজলুল হক, তাজউদ্দিন জানান, এবারই প্রথম কৃষি অফিসের কর্মকর্তা আজিজুল হকের পরামর্শে ১১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায় আনুমানিক ৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৫ মণ তেল বীজ পেয়েছেন। যার বাজারমূল্য প্রতি মণ ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা। যা ধানের চেয়ে অনেক বেশি। কৃষি অফিস জানায়, এই সূর্যমুখী বীজে প্রতি মণে ১৮ কেজি তেল পাওয়া যায়। এছাড়াও ফুল বীজের খৈল মাছের উৎকৃষ্ট খাবার, গাছ দিয়ে জ্বালানি হয়। সবুজ পাতা গরুর প্রধান খাবার। এক কথায় এর সব কিছুই মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, কৃষি অফিস থেকে বীজ সার প্রশিক্ষণ দিয়ে উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের কারণে কৃষকরা লাভবান হয়েছে অন্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি। আগামী বছর উপজেলার কৃষকরা উঁচু বা পতিত জমিতে এই ফুল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।