পাবনায় তথ্য নিয়ে বিড়ম্বনা

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২০, ০০:০০

পাবনা প্রতিনিধি
প্রতিবারের মতো এবারও এসএসসি পরীক্ষার তথ্য নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পাবনায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের। ভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হলেও করোনাভাইরাসের কারণে মুঠোফোনে খুদে বার্তায় ফলাফল আসায় নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর জেলাওয়ারী স্কুলগুলোর ফলাফল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিতেই নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা উপজেলাওয়ারী, পরীক্ষা কেন্দ্র এবং স্কুল পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এবারেও সেই বিড়ম্বনার কমতি নেই। ফলাফল ঘোষণার পর জেলা শিক্ষা অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোট পরীক্ষার্থী এবং ঘোষিত ফলাফলে কৃতকার্যের সংখ্যার তথ্য বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বেড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খবির উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় ২০টি মাধ্যমিক স্কুুল আছে। বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত ৬টি প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট হাতে এসেছে। এবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেজাল্ট হওয়ায় সার্বিক ফলাফল পেতে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। অনুরূপ কথাই বলেছেন জেলার অধিকাংশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, 'স্যার অসুস্থ।' জেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কত, ঘোষিত ফলাফলে কতজন জিপিএ-৫সহ কৃতকার্য হয়েছে এমন তথ্য চাইলে তিনি বলেন, 'আমি নিজেও বুঝি না, এই অফিসের কাজ কী? শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য এখানে থাকার কথা। অথচ এই তথ্যগুলো থাকে এডিসি শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে।' অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহেদ পারভেজ বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নানা ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করতে হয়। প্রতিবারই এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আর পরীক্ষায় কৃতকার্যের তথ্য নিয়ে মারাত্মক বিভ্রাট দেখা দেয়। কারণ জেলা শিক্ষা অফিসের কাছে কোনো তথ্য থাকে না। বিকাল সাড়ে ৫টায় এডিসি শিক্ষা অফিসের এক খুদে বার্তায় জানা যায়, এবার মোট ৩৪ হাজার ৯৫৪ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তার মধ্যে এসএসসিতে ২৭ হাজার ৫৪৩ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ৩ হাজার ৩৮০ এবং দাখিলে ৪ হাজার ৩১ জন।