ঝুঁকি নিয়েই চাঁদপুর থেকে লঞ্চযাত্রীদের চলাচল

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ০০:০০

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের লঞ্চঘাটে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় -যাযাদি
বেলা বাড়ার সাথে সাথে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। সোমবার সকালে লঞ্চঘাটে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গেলেও বেলা বাড়ার পরে তা আর রক্ষা করা যায়নি। সময়ের সাথে পালস্না দিয়ে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা, ঘুঁচেছে সামাজিক দূরত্ব। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় রেখেই গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন যাত্রীরা। চাঁদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা চাঁদপুর লঞ্চঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় যাত্রা করায় ভিড়ও বেড়েছে কয়েকগুণ। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহণ করতে সমর্থ্য হয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিমিত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ছেড়ে যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বেলা ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি রফরফ-৭ নামের লঞ্চে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। কোনোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। সকালে যাত্রী নিরাপত্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে প্রদান করা হলেও, পরে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় কোনো ধরনের জীবাণুনাশক ছিটানো বা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বিআইডবিস্নউটিএ চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহণ কর্মকর্তা আবুল বাশার মজুমদার বলেন, যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। লোকজন দূরত্ব বজায় না রেখে লঞ্চে উঠছে। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঘাটে প্রচুর যাত্রী থাকায় তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঢাকাগামী অনেক যাত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর অফিস চালু হয়েছে, তাদেরও কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় যাচ্ছেন। চাঁদপুর লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার আলী আজগর বলেন, তারা নিয়ম মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠাচ্ছেন। যাত্রীচাপ বেড়ে গেলে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কাজ করছেন। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়ে যায়। তবুও তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।