কাশিয়ানীতে কিস্তি আদায়ে বেপরোয়া এনজিও

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ০০:০০

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
সরকার কর্তৃক জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত করলেও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শুরু হয়েছে এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় কার্যক্রম। এনজিওকর্মীরা ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি গিয়ে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে পরবর্তীতে আর ঋণ দেবে না এমন শঙ্কায় অনেকে মুখ খুলছেন না। অনেকে সুদে টাকা এনেও কিস্তি আদায় করছেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় দিনমজুর, শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ঘরে অবস্থান করেছিলেন। দীর্ঘ আড়াই মাস আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় ঘরে থাকা মানুষের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। এরপর আবার কিস্তির জন্য তাড়া করছেন এনজিওকর্মীরা। একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকার বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঋণগ্রহীতারা। করোনার ভয়াবহতা কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা হোক এমনটাই দাবি তাদের। হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম বলেন, 'কয়েকদিন ধরে দোকান খুললেও করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি। এরপর আবার এনজিও'র লোকজন কিস্তির টাকা জন্য চাপ দিচ্ছেন।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনজিও'র এক ম্যানেজার বলেছেন, লোন আদায়ের কার্যক্রম চলছে তবে আমরা কোনো চাপ দিচ্ছি না। কিস্তি নিতে গেলে সুফলভোগীদের সঙ্গে একটু চাপাচাপি করতেই হয়। ইউএনও সাব্বির আহমেদ বলেন, যদি কোনো এনজিওকর্মী জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।