গাজীপুরে বায়ুমানের উন্নতি

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে। এ জেলায় বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হলো ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া এবং সড়ক-মহাসড়কে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে সৃষ্ট ধুলা-বালু। গত কয়েকমাসে গাজীপুরের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ ও মালিকদের মোটা অঙ্কের জরিমানার পর এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে সতরর্কীকরণের মাধ্যমে গাজীপুরে বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে বলে দাবি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, গত বছরের ২৬ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর ২ নভেম্বর থেকে এ বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ২৬৬টি ইটভাটা উচ্ছেদ ও কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে গাজীপুরে অবৈধ ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে চার কোটি এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানা পরিশোধ না করায় তিনটি ভাটার মালিককে ১৫ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজে সৃষ্ট ধুলা-বালু পরিবেশ দূষণ করছিল। পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বায়ুদূষণ কমেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুমান) জিয়াউল হক জানান, কোনো এলাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই নম্বর কমলে স্বাস্থ্যগত বিবেচনায় বায়ুমান উন্নত হয়। গাজীপুরে গত চার মাসে গাজীপুরের বায়ুমান তুলনা করলে দেখা যায় গাজীপুরে বায়ুদূষণ কমেছে। সবেশেষ পরিসংখ্যানে মে মাসের তথ্য পাওয়া গেছে। এ মাসে বায়ুমান (একিউআই) হলো ৭৬.৭৮। একিউআই ৫১-১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা যায়। এ হিসেবে গাজীপুরের বায়ুমান মোটামুটি পর্যায়ে রয়েছে। গাজীপুর কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম জানান, সবমিলিয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আম, লিচু, কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, আড়াইশোর মতো ইটভাটা বন্ধ করায়, লকডাউন চলাকালে মোটরযান ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় এবং মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো বন্ধ থাকায় গাজীপুরে বায়ুমানের উন্নতি হয়েছে।