কয়রার বেড়িবাঁধ ভেঙে পস্নাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০

খুলনা অফিস
আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে পস্নাবিত হয়েছে খুলনা জেলা কয়রা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় মানুষের দেওয়া রিংবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ভেঙে যাচ্ছে বাঁধগুলো। উত্তর বেদকাশী ও কয়রা সদর ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে পানি ওঠায় দুর্ভোগের সীমা নেই এ এলাকার মানুষের। স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা পরিদর্শনেও আসেনি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে কয়রা উপজেলার প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের, ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। মাটির ঘরগুলো ধসে পড়ছে। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো ভূমিকা না থাকায় দুর্ভোগে পড়া মানুষ নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে পানি আটকায়। গেল দুই সপ্তাহ ধরে ভাঙনের সব কয়টি স্থান মেরামত করে স্থানীয় লোকজন। তবে বুধবার রাতে সেসব বাঁধ আবারও ভেঙে তলিয়ে যায়। উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজীপাড়া এবং কয়রা সদরের ঘাটাখালী এলাকার বাঁধ ভেঙে আবারও পস্নাবিত হয়েছে। বুধবার রাত থেকে পানি ঢুকে সব এলাকা আবারও পস্নাবিত হয়েছে। কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে আমরা বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ছিলাম। এরপর সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল। এ কাজটি করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তবে তারা সেটি না করায় আবারও ভেঙে পানি ঢুকছে এলাকায়।