বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ০০:০০

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক উদ্বোধন করেন চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএফএম শফিকুজ্জোহা -যাযাদি
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে উৎপাদিত চিংড়ি রপ্তানিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে এবার বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা ইনস্টিটিউট মাছের রোগ নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক চালু করেছে। তবে এ ক্লিনিক চিংড়ি চাষিদের কোনো কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় প্রকৃত চিংড়ি চাষিরা। বাগেরহাট শহরতলীতে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে শনিবার বেলা ১১টায় প্রতিষ্ঠানের চত্বরে কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকরতা ড. এএফএম শফিকুজ্জোহা ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের চিংড়ি চাষি মিজানুর রহমান ও হারিদুল ইসলামের মৎস্য ঘেরে গিয়ে পানির গুণাগুণ ও মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। এ সময় ক্লিনিকের দলনেতা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচএম রাকিবুল ইসলামসহ সাবরিনা খাতুন, শরিফুল ইসলাম ও মোলস্না এনএস মামুন সিদ্দিকি উপস্থিত ছিলেন। চিংড়ি চাষি মিজানুর রহমান ও হারিদুল ইসলাম বলেন, মাছ চাষই তাদের জীবিকার প্রধান উৎস্য। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে মাছের রোগ লেগেই আছে। যার ফলে তারা কিছুটা শঙ্কায় থাকতেন। মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র বা উপজেলা ও জেলা মৎস্য অফিসে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিক চালু হওয়ায় হয়তো একটু সেবা পাবেন এম আশা করছেন তারা। মৎস্য ক্লিনিকের টিম লিডার রাকিবুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির এ সময়ে অনেকে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। যেসব চাষি গবেষণা কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, তারা নিজের খামারে বসে সেবা নিতে পারবেন।