গাংনীতে অর্জিত হয়নি গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২০, ০০:০০

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী (মেহেরপুর)
চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারিভাবে গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে গমের দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে গম দেননি কৃষক। এ বছর গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৮৮২ মেট্রিক টন। অপরদিকে ধান ও চাল সংগ্রহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সময়মতো শস্য ক্রয় না করায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। জানা গেছে, গাংনী উপজেলায় গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮৪৭ টন। কিন্তু গাংনী উপজেলা ক্রয় কমিটি ৮৪৭ টন গম ক্রয় করে বাকি এক হাজার টন গম ক্রয়ের টাকা ফেরত দিয়েছে। খোলাবাজারে দর বেশি পাওয়ায় লটারিতে নির্বাচিত কৃষকরা গম সরবরাহ করেনি সরকারি খাদ্যগুদামে। গম মাড়াই করার পরপরই যদি সরকারিভাবে গম ক্রয় করত তাহলে খাদ্যগুদামে গম দিতে পারত বলে জানান গম চাষিরা। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বিশ্বাস বলেন, চালের দাম খোলাবাজারে বেশি আছে। নতুন ধান উঠে যদি চালের দাম কমে তাহলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব। তবে মিলার যদি চাল সরবরাহ না করে তাহলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, গাংনী উপজেলায় অভ্যন্তরীণ ক্রয় কমিটি গম ক্রয় করতে পারেনি তাই এক হাজার মেট্রিক টন গমের ঘাটতি রয়ে গেছে। তবে ধান সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হবে। চালের বাজার দর হিসাব করে যদি চালকল মালিকরা চাল সরবরাহ না করে তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।