নদীর পানির বাড়ায় ভাঙন আতঙ্কে মানুষ

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে নদনদীগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। ভাঙন দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে সবজিসহ ফসলি খেত। ভাঙন হুমকির মুখে গ্রামসহ মসজিদ আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: পাবনা : পাবনার পদ্মা ও যমুনা এই দুই নদীতে পানি বৃদ্ধিসহ আত্রাই, গোমতী, চিকনাই, হুরাসাগর, চলনবিলে পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নদীপাড়, তীরবর্তী এবং নিম্নাঞ্চল পস্নাবিতসহ ফসলি জমির খেত তলিয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পাবনার সুজানগর, বেড়া ও ঈশ্বরদী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বেড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, বুধবার হিসাব মতে যমুনার নগরবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির ভাঙন এলাকা পরিদর্শনসহ প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ও জঙ্গল ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীর ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সহস্রাধিক পরিবার। প্রতি বছরই নদীভাঙনের শিকার এসব মানুষ এখন ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরেজমিন দেখা যায়, নদীভাঙতে ভাঙতে একেবারে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে বাঁশ দিয়ে নদীর কয়েকটি জায়গায় পাইলিং করে নদীর স্রোতের গতিবেগ কমানোর চেষ্টা করছে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, গড়াই নদীর ভাঙনরোধে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠার ফলে তাদের থাকা খাওয়ার বিরাট সমসা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সবার বেশির ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। বন্যার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৬ সে. মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মাদারগঞ্জ উপজেলার রোপা আমন বীজতলা, আউশ, পাট, শাকসবজি, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেতসহ ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে বন্যার পানি যদি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে আরও কয়েক শত হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হবে।