বিশ্বকবির কুঠিবাড়ি, লালন মাজার ও কাঙাল হরিণাথ স্মৃতি জাদুঘরে তালা

কুষ্টিয়ায় পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দুর্দিন

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের জাদুঘর -যাযাদি
কুষ্টিয়ার পর্যটন শিল্পে বৈশ্বিক মহামারি করোনার থাবা পড়েছে। করোনার প্রভাবে জেলার শিলাইদহে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, ছেউড়িয়ায় ফকির লালন শাহের মাজার এবং কুমারখালী শহরে কাঙাল হরিণাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ঝুলছে তালা। থমকে গেছে পর্যটননির্ভর জীবিকা। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন শিল্পী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সরকারি নির্দেশ পেলে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, কাঙাল হরিণাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘর ও ফকির লালন শাহের মাজারে দর্শনার্থীরা আসেন। এসব জায়গায় জনসমাগম হওয়ার কারণে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসাকেন্দ্র। রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী এবং বাউল শিল্পীও আছেন অনেক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির বকুলতলায় এবং লালন মাজারের অডিটোরিয়ামের নিচে বসে গান গেয়ে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করেন তারা। আর তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার। কুঠিবাড়ি ও লালন শাহের আখড়া বাড়ির সামনে রয়েছে শতাধিক দোকান। সেসব দোকানে বিক্রি হয় না পণ্য। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করা মানুষের জীবিকা। এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মকলেসুর রহমান জানান, কুঠিবাড়িতে মাস্টার রোলে চাকরিরতরা নো ওয়ার্ক নো প্রেমেন্ট-এ কাজ করেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে তারা অভাবে আছেন।র্ যাব-১২ তাদের কিছু খাবার সহযোগিতা করেছে। লালন শিল্পী রাখি শবনম বলেন, গানই তাদের জীবন-জীবিকা। গান বন্ধ। তাই থেমে গেছে সবকিছু। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরের সহকারী পরিচালক সৈয়দ এহসানুল হক বলেন, ১২ জন দৈনিক ভিত্তিতে এখানে কাজ করেন। তাদের পারিশ্রমিক সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় দিচ্ছে। তবে ২৫ তারিখ থেকে জাদুঘর বন্ধ থাকায় পর্যটককেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহকারীরা ভালো নেই। এ ব্যাপারে লালন একাডেমি সভাপতি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, শিল্পীদের সহযোগিতা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেশি হওয়ায় এখনও লালন মাজার খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।