টাঙ্গাইল ও পাবনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের নদীগুলোতে পানি বেড়ে ডুবে যাওয়া ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক -যাযাদি
টাঙ্গাইলের নদীগুলোতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ৪০টি স্থানে লিকেজ দেখা দিয়েছে। লিকেজ বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। টাঙ্গাইল পাউবো জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া একই দিন সকাল ৯টায় ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলার ১০১টি গ্রাম পস্নাবিত হয়ে লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামের অভ্যন্তরীণ কাঁচা সড়কগুলো তলিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধাক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এদিকে পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনায় বেড়ে চলছে পদ্মা যমুনার পানি। দেখা দিয়েছে নিম্নাঞ্চল পস্নাবিতসহ নদীভাঙন। নদীতীরবর্তী মানুষ উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। বেড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, শুক্রবার সকালে যমুনার পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পাবনা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, পদ্মা নদীর পানি জেলার ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২.৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।