তালতলী হাসপাতালেই চিকিৎসা সংকট

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:০০

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার জন্য নামেই রয়েছে ২০ শয্যা হাসপাতাল। উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য সরকারি একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি নিজেই যেন অসুস্থ। হাসপাতালের দোতলার দুটি ঘরে ভাঙাচুরা ৫-৬টি শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তির কোনো কার্যক্রম নেই এখানে। বহির্বিভাগের কার্যক্রম চললেও হাসপাতালের নামে বরাদ্দ নেই কোনো ওষুধ। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে রোগী পরিবহণের অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকেও বঞ্চিত উপজেলাবাসী। জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি আমতলী উপজেলার দক্ষিণের ৩টি ইউনিয়নকে ৭টি ইউনিয়ন করে তালতলী উপজেলা করা হয়। উপজেলা হওয়ার সাড়ে ৮ বছর পার হলেও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত প্রায় আড়াই লাখ তালতলীবাসী। উপজেলায় রূপান্তর হওয়ার পর প্রশাসনিক প্রায় সব অফিস-আদালত স্থাপন হলেও চিকিৎসাসেবায় নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে হাসপাতালের বহির্বিভাগের কার্যক্রম। বাকি সময় বন্ধ থাকে। হাসপাতালে ডেপুটেশনে শুধু চারজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন দুইজন। এ হাসপাতালে নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. ফাইজুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সতো দূরের কথা, তালতলী হাসপাতাল হিসেবেও ওষুধ পাননি। পুরানো একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বরাদ্দ করা ওষুধ দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তালতলীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের দাবি জানাবেন।