প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরে রাবি

১৬১ থেকে ৩৮ হাজারের বিদ্যাপীঠ

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহীর বড়কুঠিতে শিক্ষার্থী মাত্র ১৬১ জন। এ নিয়েই ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই যাত্রা শুরু উত্তরাঞ্চলের প্রথম উচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের। কালের পরিক্রমায় আজকে ৬৭তে পা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শুরুতে দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণিত ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগ রয়েছে। আছে উচ্চতর গবেষণার জন্য ৬টি ইনস্টিটিউট। ১২৬০ শিক্ষক আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজারে। অর্থাৎ সেই ১৬১ শিক্ষার্থীর বিদ্যাপীঠে পদচারণা ৩৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর। বেড়েছে অবকাঠামোও। ১২টি একাডেমিক ভবনসহ বর্তমানে রাবির ছাত্রদের থাকার জন্য আবাসিক হল রয়েছে মোট ১১টি ও ছাত্রীদের জন্য ৬টি। ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। একই বছরের ৬ জুলাই ড. ইৎরাত হোসেন জুবেরীকে উপাচার্য করে যাত্রা শুরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের। সে সময় পদ্মাপাড়ের বড় কুঠি ও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। ১৯৬১ সালে বড় কুঠি থেকে মতিহারের বর্তমান চত্বরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রেখেছেন। রাবি তৈরি করেছে ভাষা বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সেলিনা হোসেন, ইতিহাসবিদ আব্দুল করিম, তাত্ত্বিক ও সমালোচক বদরুদ্দীন উমর প্রমুখ। , চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম প্রমুখ।