মান্দায় অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ যাত্রীছাউনি

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় অযত্ন-অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়া সতিহাট বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি -যাযাদি
নওগাঁর মান্দায় অযত্ন-অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সতিহাট বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি। যাত্রী বা পথচারীদের জন্য তৈরি করা যাত্রীছাউনিটি জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় যাত্রীছাউনির কিছু স্থানে ঘূর্ণিঝড়ে টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। এতে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী ও পথচারীদের প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মান্দার সতিহাট বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে তৈরি করা হয় একটি যাত্রীছাউনি। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে এই যাত্রীছাউনিটি। এ যাত্রীছাউনিটির বসার স্থান নোংরা, ভাঙাচুড়া এবং অপরিষ্কার, পলেস্তারা খসে পড়ছে। ময়লা জমে জমে কালচে রং ধারণ করেছে। অবৈধ দখল, মাদকসেবী, ভিক্ষুক ও হকারদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে এ যাত্রীছাউনিটি। এই যাত্রীছাউনির কারণে পথচারীদের সুবিধার পরিবর্তে ভোগান্তি বেড়ছে। জানা গেছে, আশির দশকে নির্মিত এ যাত্রীছাউনিতে তেমন একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যাত্রীছাউনিটির ভেতর একাংশে রয়েছে একটি দোকান, সামনে রয়েছে অটোচার্জারের স্ট্যান্ড। এ ছাড়াও ছাউনিতে রয়েছে ভাসমান চা-সিগারেটের দোকান। বসার জন্য সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ রয়েছে। তবে, বেঞ্চে একাংশ ভেঙে আছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। পোস্টারেও ছেয়ে গেছে পুরো ছাউনি। আবর্জনায় ভরপুর হওয়ায় সবসময় মশার উপদ্রব থাকে। যাত্রীছাউনিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, আমাদের অর্থ দিয়ে, আমাদের জন্য তৈরি করা ছাউনি কেন ব্যবহারের অযোগ্য থাকবে? বসার জন্য ছোট একটি বেঞ্চ রয়েছে, সেটিও ভাঙা। আবর্জনার গন্ধে থাকা যায় না। একটু বিশ্রাম নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়।