চুয়াডাঙ্গায় করোনাকালে ঘাস চাষে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

রেজাউল করিম লিটন, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় খেতে চাষ করা ঘাস কাটছেন চাষি -যাযাদি
চুয়াডাঙ্গায় ঘাস চাষ করে করোনাকালে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে। সেই সঙ্গে পশু খাদ্যেরও চাহিদা পুরণ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন ঘাসের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এ অঞ্চলে। ঘাস চাষের উদ্যোগকে সংকটকালের হাতিয়ার বলছে কৃষি বিভাগ। নানা রকম ফসলে পাশাপাশি ঘাসের চাষ। চুয়াডাঙ্গার মাঠে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ঘাসের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা পশু পালন করছেন তাদের পশু খাদ্যেরও যোগান হচ্ছে নিশ্চিন্তে। করোনার এ সংকটে ঘাস বিক্রি করে সংসার চলছে অনেকের। জেলার সীমান্তবর্তী জয়নগর গ্রামের ঠান্ডুুু মিয়া বলেন, ১০ কাঠা জমিতে ঘাস চাষ করে গরু-ছাগলের খাওয়ানোর পাশাপাশি বিক্রিও করছি প্রতিদিন। একই গ্রামের আসান আলী, জামাল মিয়া, ইয়ার উদ্দিন, আবুল হোসেন করেছেন ঘাসের চাষ। এভাবে জেলা জুড়ে দিন দিন বেড়েইে চলেছে ঘাসের চাষ। চাষিরা জানান, জমির এক আইল থেকে ঘাস কাটতে কাটতে অন্য দিকে আবার বড় হয়ে যায়। এভাবে একবার ঘাস লাগালে বছরের পর বছর চলতে থাকে ঘাসের আবাদ। মাঝে মাঝে একটু করে সার আর সেচের ব্যবস্থা করতে পারলেই চলে। এক বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ করতে খরচ হয় ১০ হাজার টাকার মতো। বছরে ৬ বার এ ঘাস কাটা যায়। এর থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ঘাস বিক্রি করা যায়। সংকটকালের হাতিয়ার উলেস্নখ করে ঘাস চাষে পৃষ্ঠপোষকতার কথা জানালেন কৃষি বিভাগও। চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আলী হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গার অন্যান্য ফসলের সঙ্গে ঘাসও একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ঘাষ চাষ করে এ জেলার অনেক চাষি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আগামীদিনে সার ও সেচ প্রনোদনার আওতায় আনা হবে। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, চুয়াডাঙ্গায় প্রায় প্রতি বাড়িতেই গরু-ছাগল পালন হয়ে থাকে। এসব গবাদি পশুর খাদ্যের যোগান দিতে এ জন্য ঘাস চাষ খুব জনপ্রিয় এ জেলায়। প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে ঘাস চাষ বাড়াতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানায়, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় ৮৪৫ চাষি ২০৭ একর জমিতে নেপিয়ার, সরগম জাতের ঘাস চাষ করেছে।