খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা কৃষকের

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বিভিন্ন স্থানে রকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছেন না কৃষক। বিড়ম্বনা ছাড়াই তারা খোলা বাজারে ধান বিক্রি করছেন। ফলে ধান ক্রয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। গত মে মাসের ১২ তারিখ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও কৃষকরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছে সিরাজগঞ্জ খাদ্য বিভাগ। উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলাম জানান, লটারিতে বাছাইকৃত কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে সরকার-নির্ধারিত মূল্যে ধান সরবরাহের জন্য বলা হলেও তারা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। অভয়নগর (যশোর) : যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া সরকারি খাদ্যগুদাম সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০৫ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত ধান ক্রয় করা হয়েছে ৪৫৪ মেট্রিক টন। ধান ক্রয় বাকি আছে ২ হাজার ৫১ মেট্রিক টন। বাজারে ধান বিক্রি করতে আসা কয়েকজন কৃষক জানান, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে অনেক নিয়মনীতি মানতে হয়। বিক্রয়কৃত ধানের টাকা পেতেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই খোলা বাজারে ৯৭০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করে সহজে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। বিধায় তারা সরকারি গুদামে ধান বিক্রি না করে খোলা বাজারে করছেন। কালাই (জয়পুরহাট) : জয়পুরহাটের কালাইয়ে করোনার কারণে সতর্কাবস্থায় চলাফেরাসহ প্রতিকূল পরিবেশ, খোলা বাজারে দাম বেশি ও সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনেক ঝামেলা হওয়ায় লটারিতে নির্বাচিত কৃষকরাও স্থানীয় বাজার ও চাতালে ধান বিক্রি করছেন। কালাই খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আলমগীর জানান, কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না আসায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে উপজেলার চালকল মালিকরা আন্তরিক, তাই অভিযান সফল হবে বলে তিনি আশাবাদী। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সিদ্দিকা জানান, এখনো অনেক সময় হাতে থাকায় ধান ও চাল ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।