খালের মাটি ইটভাটায় সড়ক খালের পেটে

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

এমএইচ শিপন, বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইটভাটার মালিক খাল বাঁধ দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে পাড়ের দুইটি সড়ক খালের গর্ভে চলে গেছে। এতে উপজেলার টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় তিন হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এছাড়া খালের দুই পাশের ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা ভেঙে পড়ছে। কাঁচা সড়ক ভেঙে যাওয়ায় কোনো পরিবহণ চলাচল করতে পারছে না। বড় ধরনের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে শতাব্দীর প্রাচীন স্থানীয় হাকিমুদ্দিন বাজারটিও হুমকির মুখে পড়বে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। এছাড়া হাকিমুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসা, হাকিমুদ্দিন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম হাসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিকে ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকবে। অপরদিকে করোনাকাল শেষ হলে শিক্ষার্থীদের চলাচলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না। কারণ বাজারের পাশেই মেঘনা নদী। সংযোগ সড়কের পাশ ভেঙে পড়ছে। উপজেলার টবগী ইউনিয়নের সীমান্তে মেঘনা নদী শুরু হয়ে হাসান নগর ও টবগী ইউনিয়নের মধ্যে হাকিমুদ্দিন বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বেতুয়া খাল। চওড়া ওই খালটির এক অংশ খাসমহল বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ও অপর অংশ মৃজাকালু মাছ ঘাট হয়ে পুনরায় মেঘনায় মিশেছে। ভাটার মালিক দুই পাশে বাঁধ দিয়ে খাল কেটে ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেন। খালের কোনো ঢাল না রাখায় মাটি নেওয়ার এক মাস পর থেকে প্রতিদিন পাড়ের সড়ক ভেঙে লোকালয়ের দিকে চওড়া হচ্ছে। উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও বশির গাজী জানান, দখলমুক্ত রাখতে মাছ চাষের জন্য জসিমউদ্দিন হাওলাদারকে ডিসিআর কেটে এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মালেক জানান, জলাধার আইনে খালে বাঁধ দেওয়া যায় না। কী কারণে খাল কাটা হচ্ছে তা স্থানীয় প্রশাসন ভালো বলতে পারবেন। জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক বলেন, প্রবহমান খাল কখনই বন্দোবস্ত বা ইজারার উপযুক্ত না। তবে বদ্ধজলাশয় হলে বার্ষিক ডিসিআর কেটে মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু খনন করে মাটি নেওয়া যাবে না। ইটভাটার মালিক জসিমউদ্দিন হাওলাদার জানান, তিনি খালটি নিয়েছেন মাছ চাষের জন্য। কিন্তু মাছ ছাড়তে পারেননি। তবে তিনি সড়ক সংস্কার করে দেবেন বলে জানান।