কক্সবাজার টেকনাফে নাফনদী সাঁতার কেটে মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এলাকার মো. সৈয়দ আহমদের ছেলে মো. ছৈয়দ আলম (৩৫)। এ সময় বিজিবি'র দুই সদস্য আহত ও ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ স্থলবন্দরসংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজের নিকটবর্তী কেয়ারী খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির দাবি, মো. ছৈয়দ আলম চিহ্নিত মাদক কারবারি।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ১২ জুলাই রাতের প্রথম প্রহরের দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ একটি টহল দল দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কেয়ারী ঘাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহলে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে সন্দেহভাজন ২ জন মানুষের আনা-গোনা দেখে বিজিবি জওয়ানরা সতর্ক অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি নাফনদী সাঁতার কেটে কিনারায় এলে সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদ্বয় তার নিকট গেলে বিজিবি জওয়ানরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তখন বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দু'পক্ষের মধ্যে ৩/৪ মিনিট গোলাগুলির ঘটনার পর হামলাকারীরা খাল বেয়ে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তলস্নাশি করে ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ নাইট্যং পাড়ার বার্মাইয়া ছৈয়দ আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলমকে (৩৫) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এরপর আহত বিজিবি জওয়ানদ্বয় এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারিকে দ্রম্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আহত বিজিবি জওয়ানদের চিকিৎসা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি গ্রম্নপের সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আলম মারা যান। মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।