বেড়েছে পানি, নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ইছামতি নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে গরুর হাট -যাযাদি
উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ বন্দি রয়েছে। শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- নীলফামারী : উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ভারত খুলে দিয়েছে গজল ডোবা ব্যারাজের গেট। সেই পানির তোড় সামলাতে না পেরে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার মধ্যবর্তী তিস্তা ব্যারাজে খুলে রাখা হয়েছে ৪৪টি গেট। যা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে তিস্তা অববাহিকায় নামছে ২ হাজার ৪৫৭ কিউসেক পানি। ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে বিপৎসীমা অতিক্রান্ত করে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ব্যারাজের পূর্বদিকে ফ্ল্যাট সুইস এলাকাটি পাউবোর কর্মকর্তারা নজরদারিতে রেখেছেন। টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে। ফলে জেলার ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, গোপালপুর, কালিহাতী ও নাগরপুর উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১৩৭টি গ্রামের প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার যমুনার পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ধলেশ্বরী ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাবনা : পাবনায় উজানের ঢল আর টানা বর্ষণে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পাউবো সংশ্লিষ্ট দপ্তর। পাবনা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, পদ্মার পানি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে মঙ্গলবার সকালে ১.৬৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। ঘিওর (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ইছামতী, ধলেশ্বরী ও কালিগঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধির পাওয়ায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনটি নদীর ভাঙনে প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘড়, বহু ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে বহু বাড়িঘর, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কুস্তা এলাকায় ৪০ লাখ টাকা, নারচী ৬০ লাখ টাকা, শ্রীধরনগর ৬৫ লাখ টাকা, তরা শ্মশানঘাট ৩০ লাখ টাকা ও বালিয়াখোড়ায় ২০ লাখ টাকার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।