পিনাক-৬ লঞ্চডুবির অর্ধযুগ বিচার না হওয়ায় নিহত পরিবারের ক্ষোভ

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

মনজুর হোসেন, মাদারীপুর
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট দেশের মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চটি। ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ফিরছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় লঞ্চটি পদ্মায় ডুবে যায়। সরকারি হিসেবে ওই দুর্ঘটনায় ৪৯ এবং বেসরকারিভাবে ৮৬ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ হন ৫৩ জন। যাদের খোঁজ এখনো মিলেনি। আবার অজ্ঞাতনামা হিসেবে শিবচর পৌর কবরস্থানে ঠাঁই হয় ২১ জনের। জানা গেছে, ২০১৪ সালে পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে বাড়ি থেকে ঢাকা ফিরছিলেন মানুষ। পদ্মার মাঝখানে প্রবল ঢেউয়ে লঞ্চটি ডুবে যায় পানিতে। পিনাক-৬ ডুবিতে স্বজন হারানো কয়েকটি পরিবার জানায়, এ দিনটিতে তারা স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করেন। শিবচরে স্বজন হারানো কয়েকটি পরিবারে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির চারপাশজুড়ে যেন বিষাদের ছায়া। শিবচরের পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান জানান, পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবির ঘটনায় অজ্ঞাত হিসেবে বেশ কিছু লাশ দাফন করা হয়েছিল। তারা দাফন করা লাশের ডিএনএ সংরক্ষণ করে রেখেছেন। শিবচরের ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার পর এ রুটে নৌযান পারাপারের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে ঝুঁকি এড়িয়ে লঞ্চ চালাতে বলা হয়েছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী না উঠে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ অতিরিক্ত যাত্রী তুললে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।