বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কমছে বন্যার পানি বাড়ছে নদী ভাঙন

স্বদেশ ডেস্ক
  ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
মাদারীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত শহররক্ষা বাঁধ -যাযাদি

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে বন্যাকবলিত মানুষজন। এতে করে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও আতঙ্ক কমছে না নদী পাড়ের মানুষের। আমাদের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: মাদারীপুর: মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর শহর রক্ষা বাঁধের লঞ্চঘাট এলাকার বেড়িবাঁধসহ ওয়াকওয়ের ৪০ মিটার এলাকা ঈদের দিন নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে শহরের কয়েকশ বসতবাড়ি। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। নদীর পাড়ের বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। মাদারীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধ এবং ওয়াক ওয়ের একাংশ নদীতে হঠাৎ করে ভেঙে গেছে। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৭০০ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। পাবনা: পাবনায় একদিন স্থিতিশীল অবস্থার পর কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। অন্যদিকে বিপৎসীমার প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, একদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবার কমতে শুরু করে যমুনার পানি। মঙ্গলবার যমুনার পানি নগরবাড়ীর মথুরা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মার পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে প্রতিদিনই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে কাছাকাছি উঁচু রাস্তা, হাইস্কুল ও আশ্রয় কেন্দ্রে। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার ২৫টি গ্রামের বেশির ভাগ পরিবার পানিবন্দি ছিল। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী, কাফুলাবাড়ী এবং রামনগর, কলাবাড়ী, বৈকুন্ঠপুরসহ জেলার আরও প্রায় ২৫ গ্রাম। জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হাজারও মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে। অনেকের নিজ বাড়িতে মাচাং করে বসবাস করছেন। ঈদের আনন্দ উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়ে সহস্রাধিক পরিবার অর্ধাহারে-অনাহারে পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ): ঈদের আমেজ পুরোপুরি উধাও বন্যাকবলিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাজারও বানভাসি পরিবারে। এক মাসেরও বেশি সময় এ উপজেলার মানুষ বানের পানিতে ভাসছে। এর ওপর শুরু হয়েছে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন। সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ): মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। দুই দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের প্রায় ২০টি বাড়ি। হুমকির মুখে আছে আরও শতাধিক বাড়ি এবং ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসা। এতে নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ভাঙন এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরির্দশন করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে