রাজনগরে মাল্টা চাষে সাফল্য

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

মো. ফরহাদ হোসেন, রাজনগর (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মালটার পরিচর্যা করছেন কৃষক -যাযাদি
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মো. আল আমিন (৪৪) কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়ির পাশে ৬০ শতাংশ জমিতে আউশ ও আমন ধান চাষ করতেন। ২০১৭ সালের মে-জুন মাসে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ধানের জমিতে শুরু করেন মাল্টা চাষ। বর্তমানে মাল্টা গাছে ফল ধরে তা খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় স্থানীয়রা বিষমুক্ত মাল্টা কিনতে ভিড় করছেন তার বাড়িতে। ২০০টি গাছের প্রতিটিতে গড়ে ১২০টি করে মাল্টা ধরেছে বলে জানান উপজেলার সদর ইউনিয়নের নন্দীউড়া গ্রামের সুনাহর আলীর ছেলে আল আমিন। তিনি জানান, ধানের চেয়ে মাল্টা লাভজনক হওয়ায় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা ও সার পাওয়ার আশ্বাসে জমি মাল্টা চাষের জন্য প্রস্তুত করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের চারা লাগিয়ে পরিচর্যা করেন। গত বছর ফুল আসলেও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে সেসব ফুল ভেঙে দেন। ফলে গাছগুলো আরও মজবুত ও সামর্থ্যবান হয়। এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় বিক্রি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তিনি। কিন্তু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তার বাগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় স্থানীয়রা মাল্টা কিনতে তার বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। স্থানীয় অনেক ফল ব্যবসায়ীও তার কাছ থেকে মাল্টা কিনতে আগ্রহ দেখান। ফলে মাল্টা বিক্রি নিয়ে তার চিন্তা অনেকটাই দূর হয়েছে। ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে এ পর্যন্ত এক মণের বেশি মাল্টা তিনি বিক্রি করেছেন। চলতি বছর এই বাগান থেকে ১ টন মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। তার এই সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষক ও বেকার যুবকরা মাল্টা চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস থেকে মাল্টা চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি নিয়ে চাষিরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপজেলা সমন্বয় সভায় তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে বিষমুক্ত ও সতেজ মাল্টা কিনতে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা আগ্রহ দেখান। অনেকেই এখন বাগান থেকে মাল্টা কিনছেন।