বাঘারপাড়ায় আখের আবাদ বাড়লেও দুশ্চিন্তায় চাষিরা

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়ায় আখের আশানুরূপ ফলন হলেও দাম নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা -যাযাদি
যশোরের বাঘারপাড়ায় এবার আখ চাষের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। বেশ লাভজনক হওয়ায় কয়েক বছর ধরেই এই অঞ্চলের কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে আখ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। ফলন ভালো হলেও নায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। কৃষি অফিস বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। গত বছর আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৫ হেক্টর জমিতে। যা এ বছর প্রায় ১১০ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। ভালো মাটি, আশানুরূপ ফলন, রোগবালাই কম ও নায্যমূল্য পাওয়ায় দিন দিন এই অঞ্চলে আখের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ১১০ হেক্টরের প্রায় ৬৫ হেক্টরই দোহাকুলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয়েছে। উপজেলার সব এলাকার চাষিরা গেন্ডারি জাতের আখ চাষ করেছেন। আখ বিক্রির পুরোপুরি মৌসুম সেপ্টেম্বরের শুরুতে হলেও কয়েক জায়গায় আগাম লাগানোর কারণে সীমিত আকারে বেচাকেনা চলছে। জানা গেছে, উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের শুকদেবনগর, ছাইবাড়িয়া, নওয়াপাড়া, খলশী, বহরামপুর ও ইন্দ্রা গ্রামে বেশি আখ চাষের আবাদ হয়েছে। জামদিয়া ইউনিয়নের দাতপুর, করিমপুর, আদমপুর, দরাজহাট ইউনিয়নের হাবুল্যা, লক্ষ্ণীপুর, মহিরণ, দাতপুর, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ক্ষেত্রপালা, মালঞ্চি, পশ্চিমা, শ্রীরামপুরহর রায়পুর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় সীমিত পরিমাণ আখ চাষ হয়েছে। দোহাকুলা এলাকার আখচাষি ও ইউপি সদস্য ছবির আল মামুন বলেন, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। আম্পানের সময় ২৬ শতক জমির আখ পড়ে গিয়েছিল। সে কারণে এবার বাড়তি ৫০-৬০ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মতো খরচ হয়েছে। ৮-৯ লাখ টাকায় এসব আখ বিক্রির আশা করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় আখের আবাদ বেড়েছে। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন। এক দেড় মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চাষিরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।