লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ফার্মেসি!

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর)
ঔষধ প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের পাশে বা বিভিন্ন বাজারের অলি-গলিতে গড়ে উঠেছে কয়েকশ ওষুধের দোকান। অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা না থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় বিভিন্ন বাজারে অনেকেই বসে পড়েছেন ওষুধ বিক্রির ব্যবসায়। এসব ফার্মেসি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক, নিষিদ্ধ, নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের বিভিন্ন ওষুধ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফার্মেসিগুলোতে নেই কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার সব আঞ্চলিক সড়কের পাশে ও বাজারে গড়ে উঠেছে ফার্মাসিস্ট এবং ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন প্রায় তিন হাজার ফার্মেসি। অথচ ঔষধ প্রশাসনের লাইসেন্স আছে মাত্র ২৫৬টির। অদক্ষ লোক বসিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে জটিল সব রোগের ওষুধ। ফলে মানহীন ভুল ওষুধ বিক্রির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় ও অতিরিক্ত ভিজিটের কারণে শিশু, বৃদ্ধ, যুবক এবং গর্ভবতী নারীরা উপজেলা সদরে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না। শুধুমাত্র পৌরসভার মধ্যেই রয়েছে এক হাজারেরও বেশি ওষুধের দোকান। এ ছাড়া উপজেলার মাওনা বাজার, এমসি, নয়নপুর, গাজীপুর, নিজমাওনা, বাঁশবাড়ি বাজার, চকপাড়া মেডিকেল মোড়, জৈনা বাজার, বরমী, রাজাবাড়ি, বরামা, কাওরাইদ বাজার, যুগির সিট মোড়, কাশেমপুর বাজার, বলদীঘাট বাজারসহ ৩০-৩৫টি বাজারের কয়েক হাজার ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টের প্রশিক্ষণ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে ভালো মানের ওষুধের চেয়ে ৪০-৫০ শতাংশ বেশি কমিশন দেওয়া হচ্ছে। ফলে বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রিতে আগ্রহী হচ্ছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। উপজেলা ক্যামিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সভাপতি এমএ সাত্তার জানান, ওষুধ প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেকেই ফার্মেসি দিয়েছেন। এখানে প্রায় তিন হাজারের মতো ফার্মেসি রয়েছে, তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকিরা দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলার ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মরুময় সরকার যায়যায়দিনকে জানান, ইতোমধ্যে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোর তালিকা তৈরির কাজ হচ্ছে। দ্রম্নতই এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।