গোপালগঞ্জে বেহাল সড়কে চলাচল ব্যাহত

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

এসএম নজরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ
মাটি-কার্পেটিং সরে খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক -যাযাদি
বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে গোপালগঞ্জে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি আঞ্চলিক সড়কের পুরোটাই ভেঙে দেবে, দু'পাশের মাটি কার্পেটিংসহ সরে গিয়ে, খানাখন্দ হয়ে যায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কারণে ওই সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের গান্ধিয়াশুর থেকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাজুনিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৮ ফুট প্রস্থের এ সড়ক দিয়ে জেলা সদরে না গিয়েই কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া, মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার বাসিন্দারা অভ্যন্তরীণ যাতায়াত, মালামাল পরিবহণ এবং জরুরি প্রয়োজনে উন্নত যাতায়াত করে। এখানকার অর্ধ শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানে মালামাল পরিবহণ, উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহণ, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালে যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। গান্ধিয়াশুর-বাজুনিয়া সড়কের জেকে পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক কামরুজ্জামান সিকদার, স্থানীয় যুবলীগ নেতা পলাশ মোলস্না, সজল বালা, স্থানীয় বাসিন্দা কবিতা কীর্ত্তনীয়া, লীলাবতি রায়সহ অনেকে জানান, ভারী যানবাহন ও মাছের ঘের তৈরিতে মাটির এস্কেবেটর চলাচলের কারণে রাস্তার কার্পেটিং ভেঙে, ভারী বর্ষণে দু'পাশের বালু সরে গিয়ে হাজারো গর্ত, খানাখন্দ এবং প্রশস্ত কমে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রম্নত রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে। গোপালগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সওজ গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিগগিরই রাস্তার ডিপিপি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।