চার জেলায় ৫ জনের অস্বাভাবিক মৃতু্য

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দেশের চার জেলায় ৫ জনের হত্যাসহ অস্বাভাবিক মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে। নড়াইল, গাজীপুর, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসব ঘটনা ঘটে। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : লোহাগড়া (নড়াইল) :নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে জামাই আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পওয়া গেছে। আত্মহত্যার শিকার মাহাবুলস্নাহ শেখ (২৩) উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের গোলাম মোস্তফা শেখের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মোস্তফা শেখের ছেলে মাহাবুলস্নাহর সাথে এক বছর আগে ইতনা গ্রামের রঞ্জু শেখের মেয়ে সুমাইয়া খানম (১৯) বিয়ে হয়। স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মাহাবুলস্নাহ শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে একটি ঘরে মধ্যে আড়ার সাথে গলায় গামছা ও ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। এলাকাবাসী তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গাজীপুর :গাজীপুর মহানগরীর পোড়াবাড়ী এলাকা থেকে কাঁচামাল ব্যবসায়ী চাঁন মিয়ার (৫০) নিখোঁজের ৯ দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে সালনার পোড়াবাড়ী এলাকার জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত চাঁন মিয়া গাজীপুর মহানগরের পোড়াবাড়ী এলাকার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে। খানসামা (দিনাজপুর) :প্রেমের টানে রাতের আঁধারে বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে লাশ হলো দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সদ্য এসএসসি পাস এক ছাত্রী। তার নাম লতা রায় (১৭)। সে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার গ্রামের মৃত ধনেশ্বর চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তাকে পার্শ্ববর্তী ভাবকি ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের শেখ পাড়ায় লিচু গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে খানসামা থানা পুলিশ। পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয় হতে সদ্য এসএসসি পাস ছাত্রী লতা রায় ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে প্রতিবেশী এক কাকার বাড়িতে আশ্রিত ছিলেন। সে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমের টানে স্কুল ব্যাগে মুঠোফোন, টাকা, কাপড়চোপড় ও অলংকার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। খোঁজাখুঁজির পর রাত প্রায় ২টার দিকে রাস্তার পাশে লিচুগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধার করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া :ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবদুল হামিদ (৪৫) নামে এক সবজি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা ১১টায় পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত আবদুল হামিদ সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে। তিনি তার পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার নোয়াপাড়ার রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ও মেড্ডা সিও অফিসের মোড়ে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সোহেল মিয়া (১৬) নামে এক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধরন্তি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল মিয়া সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মন মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সরাইল-নাসিরনগর সড়কের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।