কালীগঞ্জে ড্রাগন ফল চাষে কর্মসংস্থান সৃষ্টি

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি ফল ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন যুবক সামাদ। তার দেখাদেখি এলাকায় অনেক কৃষক এবং বেকার যুবক ড্রাগন ফল চাষ করেছেন। ফলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে অন্যদিকে পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে ড্রাগন ফল। সামাদের বাড়ি উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের খামার মুন্দিয়া গ্রামে। সামাদ জানান, ২০১৯ সালের প্রথম দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ শতক জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেন। তার জমিতে ৪৫০টি পিলার রয়েছে। প্রত্যেক পিলারে ৪টি করে ড্রাগন গাছ রয়েছে। দেড় বছর পর থেকেই তিনি ফল সংগ্রহ করতে পারছেন। গত দেড় বছরে তিনি তার বাগানে খরচ করেছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। তিনি আরও জানান, প্রায় ৪ বছর আগে স্থানীয় একটি পোল্ট্রি ফার্মে তিনি কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হন। পরে চাকরি ছেড়ে নিজেই একজন কৃষি উদ্যেক্তা হয়ে ওঠেন। তার দাবি, ড্রাগন ফল একটি লাভজনক চাষ। মাত্র দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই ড্রাগন বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করা সম্ভব। তিনি সম্পূর্ণ নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক বাদে এর চাষ করছেন। ড্রাগন ফুল আসার পর ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই ফল খাওয়ার উপযোগী হয়। বিক্রেতারা তার বাগান থেকে এই ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারদর ২০০-২৫০ টাকা। তবে অধিকাংশ সময় ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) হুমায়ন কবির আকাশ জানান, যুবক সামাদের ড্রাগন বাগানটিতে এবার ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের তরফ থেকে সার্বিক খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। দেশের বেকার যুবকরা এ ধনের কাজে উদ্বুদ্ধ হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মত এই কৃষি কর্মকর্তার।