পাটচাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মনিরামপুরের চাষিরা

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুরে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ সংগ্রহ করছেন কৃষক -যাযাদি
স্বপ্নের ফসল সোনালি আঁশ পাট নিয়ে মনিরামপুরের চাষিরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারমূল্য চড়া থাকায় পাট পচানো, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানো এবং ভাদ্র মাসে জমিতে আমন ধান রোপণের প্রস্তুতি হিসেবে তাদের মধ্যে কাজের ধুম পড়েছে। কৃষি অফিসের সূত্রমতে, এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা ২০০ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে। উপজেলার আম্রঝুটা গ্রামের চাষি সবুজ হোসেন জানান, পাট চাষে কৃষকের দুদিকে অর্থ আসে। যে কারণে গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এক আটি পাটখড়ি বিক্রি হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। কিন্তু পাটের বাজারমূল্য কিছুটা মন্দা ছিল। ফলে পাট চাষে খরচ বাদ দিয়ে লোকসান না হলেও লাভের অংশ পেয়েছেন খুবই অপ্রতুল। আর এ বছর মাত্র এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তবে আশা তিনি করছেন বেশি দামে পাটখড়ি বিক্রি না হলেও ৩০ টাকার নিচে আটি বিক্রি হবে না। তারপরও উঠতি মুহূর্তে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে। ফলে এবার পাট চাষে লাভবান হওয়ার আশায় রয়েছেন তারা। কাজিয়াড়া গ্রামের মতলেব গাজী জানান, সামনেই ভাদ্র মাস। তাই পচানো পাটের আঁশ ছাড়ানো, তা শুকানো এবং সর্বশেষ বাজারজাত নিয়ে খুব ব্যস্ত রয়েছেন। মোহনপুর গ্রামের চাষি জিকাত হোসেন বলেন, গত ২ থেকে ৩ বছর খুব বেশি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট পচাতে চাষিদের অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেকে পাট পচাতে না পেরে জ্বালানি হিসেবে পুড়িয়ে ফেলেছেন। এ কারণে পাট চাষ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। পৌর শহরের আড়ৎ ব্যবসায়ী আবদুল গফুর ও আজিজুর রহমান জানান, এ বছর পাটের বাজার মূল্য কমতি নয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাষিদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, মনিরামপুরে এবার পাট চাষ করা হয়েছে ৪৮০০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৪৬০০ হেক্টর জমিতে। সে তুলনায় এ বছর ২০০ হেক্টর বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে পাট কাটতে শুরু করেছেন চাষিরা। সব মিলিয়ে পাটচাষিরা এবার একটু বেশিই মুনাফার আশা করছেন।