কাশিয়ানীতে গো-খাদ্য সংকট, বিপাকে খামারি

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
মধুমতি নদী ও বিলরুট ক্যানেলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যায় পস্নাবিত হচ্ছে। এসব বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে মারাত্মক গো-খাদ্য সংকট। বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের সংগৃহীত খড়। পানিতে ডুবে গেছে মাঠ-ঘাট, গো-চারণভূমি, ফসলি জমি ও চাষ করা ঘাসের খেত। ফলে এ সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ। কাশিয়ানী পূর্বপাড়া এলাকার খামারি শহিদুল আলম মুন্না জানান, বন্যায় পশুখাদ্যের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার আগে এক কাহন (১২৮ আটি) খড়ের দাম ছিল ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকা, যা এখন কিনতে হচ্ছে ৪৫শ থেকে ৫ হাজার টাকায়। খৈল, কুঁড়া, ভুসির দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক। উপজেলার হুগলাকান্দি গ্রামের গো-খামারি গিয়াস উদ্দিন গালিব বলেন, 'বন্যা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা' হয়ে দেখা দিয়েছে। করোনার সংকট কাটতে না কাটতে দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যায় আমার ১৩ বিঘা জমির রোপণ করা ঘাস তলিয়ে গেছে। খড়ের জন্য কৃষকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সংগ্রহ করতে পারছি না। গরুর খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।' কাশিয়ানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মানবেন্দ্র মজুমদার বলেন, 'মাঠ-ঘাট, গো-চারণভূমি ও আবাদকৃত ঘাস তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে খড় ও দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে খামারিদের। আমরা খাদ্যসংকট মোকাবিলায় খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।'