শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য জেলার মানুষ মুখিয়ে আছে ফরহাদ হোসেন আজাদ সদস্য সচিব, জেলা বিএনপি

নতুনধারা
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

পঞ্চগড় বিএনপির ঘাঁটি উলেস্নখ করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেছেন, ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০১ সালের নির্বাচনে পঞ্চগড়ের মানুষ ধানের শীষের প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেছে। এই সময়কালের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ ও সাবেক মন্ত্রী ও স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে পঞ্চগড় জেলার যত উন্নয়ন হয়েছে পরবর্তী সময়ের উন্নয়ন এর ধারেকাছেও যেতে পারবে না।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে 'কারচুপির নির্বাচন' বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের দল অংশগ্রহণ করে। ওই নির্বাচনে ব্যাপক ভোট ডাকাতি হয়েছে। কারসাজি না হলে আমরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পঞ্চগড়-২ আসনে আমি এবং পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বিজয়ী হতো। কারণ পঞ্চগড়ে নেতাকর্মী ছাড়াও আমাদের প্রচুর ভোটার রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলেও পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছে। এভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না।

পঞ্চগড় জেলার মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে দাবি করে ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সারাদেশের মতো পঞ্চগড়েও বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে। তার মতে, বর্তমান সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশকে নানা সংকট তৈরি করেছে। বিরোধী মতকে দমন করার জন্য তারা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। পঞ্চগড়ের মানুষ অনেক শান্তিপ্রিয়। এরপরও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে। অনেকে মিথ্যা মামলা ঘাড়ে নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

পঞ্চগড়ে বিএনপির মধ্যে দলাদলি রয়েছে স্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন, বড় পদে জায়গা না পেয়ে অনেকে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। জেলায় গণতান্ত্রিকভাবে একটি কমিটি করার জন্য জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুকে আহ্বায়ক ও আমাকে সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল করতে পারছি না। এরপরও কিছু কিছু ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যন্ত কমিটি করেছি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা জেলা কমিটি উপহার দিতে পারিনি। আশা করছি, আগামীতে বাকি ইউনিটগুলোর কমিটি করে আমরা জেলা কমিটি করতে পারব।

ফরহাদ হোসেন আজাদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায়। কেন্দ্রীয় যুবদলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য করা হয়। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসনে প্রার্থিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম মোজাহার হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে তিনি বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের কাছে হেরে যান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<112295 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1