উলিপুরে ৩৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ভেঙে যাওয়া ব্রিজ

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভেঙে যাওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ নাওড়া ব্রিজ ৩৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি। ডিঙি নৌকা ও বাঁশের সাঁকোই ৮ হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। ১৯৮৮ সালে বন্যার পানির তোড়ে উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের নাওড়া ব্রিজটি ভেঙে যায়। সেই থেকে ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় ৬ গ্রামের ৮ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়রা বর্ষা মৌসুমের জন্য নিজেদের টাকায় ছোট একটি ডিঙি নৌকা তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। প্রায় তাদের পানিতে পড়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি আর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার নাওড়া, মাঝিপাড়া, খ্যানপাড়া, বিষ্ণুবলস্নভ ও মদনারপাড়া গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ছমির উদ্দিন, নুরুল হক, শরীফ উদ্দিন, শাবুলস্নাসহ একাধিক মানুষ জানান, এ নদীর সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রের মূল নদীর সংযোগ থাকায় বছরের সব সময় পানি থাকে। ফলে সে-সময় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো। নদীর ওপারে ফসলি জমিতে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় কয়েক কি. মি. ঘুরে কৃষকরা তাদের কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে জমিতে যান। ধামশ্রেনী ইউপি চেয়ারম্যান রাখিবুল হাসান সরদার বলেন, ব্রিজটি পুনরায় নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাদেকুল আলম জানান, এ বছরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় ব্রিজটির নাম বাস্তবায়নের অনুরোধসহ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।