চার জেলায় ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃতু্য

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দেশের চার জেলায় ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে। মাগুরা, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে এসব ঘটনা ঘটে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : মহম্মদপুর (মাগুরা) : মাগুরার মহম্মদপুরের তিনটি গ্রামে বুধবার বিকালে ও রাতে তিনজনের মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার আওনাড়া গ্রামে কেয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্য হয়েছে। এদিন রাতে সুলতানসী গ্রামের মাহির আহমেদ আসিফ (১৮) নামের এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। একই রাতে জাঙ্গালিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ফকির (৬০) নামের এক ব্যক্তি বিদু্যৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। সূত্র জানায়, বুধবার বিকালে উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের আওনাড়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী সজীব শেখের স্ত্রী কেয়া খাতুনের গলায় ওড়না পঁ্যাচানো লাশ পাওয়া যায়। এরপর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে পাঠায়। এছাড়া উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের সুলতানসী গ্রামের নায়েব মোল্যার ছেলে মাহির আহমেদ আসিফ বিষপানে আত্মহত্যা করে। অন্যদিকে উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের আবুল হোসেন ফকির বিদু্যৎস্পৃষ্টে মারা যান। বাঘা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আঁখি খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষের তীরে গলায় উড়না পঁ্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। আঁখির স্বামী সবুজ আলীর দাবি, ঘুমিয়ে পড়ার পর রাতের যেকোনো সময়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে তার মৃতু্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আঁখির পরিবারের। আঁখির স্বামী সবুজ আলীর বাড়ি উপজেলার আলাইপুর সরকার পাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের সাগর আলীর ছেলে। জানা যায়, আঁখি ও তার স্বামী রাজশাহী কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ালেখা করে। দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করে আসছিল। সবুজের পিতা সাগর আলী জানান, বেকারত্বের কারণে মাঝে মধ্যে তাদের ঝগড়া বিবাদ হতো। সোমবার রাতেও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে ছেলে সবুজ আলী তার কক্ষের তীরের সাথে গলায় উড়না পঁ্যাচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় গুমাই নদী থেকে এক নৌ শ্রমিকের ভাসমান  লাশ উদ্ধার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। বুধবার  রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টুকের বাজারের পাশে গুমাই নদী থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হারুন শিকদার (৩৯) পিরোজপুরের ইন্দুরখানি থানার কলারন গ্রামের আবুল শিকদারের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হারুন শিকদার বাল্কহেড ট্রলারের একজন শ্রমিক। তিনি ট্রলারে রান্নার কাজ করতেন। গত সোমবার নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে তাদের মালবাহী বাল্কহেড ট্রলারে দিয়ে ঢাকা উদ্দেশে যাত্রা রওয়ানা  করেছিল। পরে কোনো এক সময় ধর্মপাশা উপজেলার হলদির হাওরে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিকলী (কিশোরগঞ্জ) : কিশোরগঞ্জের নিকরী উপজেলার শিংপুর ইউনিয়নের বাজারহাটি হক সাহেবের নৌকার ঘাট থেকে নৌকার মাঝি ভাশানী মিয়া (১৬) কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিকলীর উদ্দেশে রওনা দেয়। তখন নিকলী সদর নতুন বাজারে যাত্রীদের নগরে নামিয়ে দেন। ভাশানীকে নৌকায় রেখে নৌকার মালিক নতুন বাজারে যান। তখন বাজার থেকে এসে ভাশানীকে নৌকার মধ্যে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুরে ভাশানীর লাশ সৌয়ানজি নদীতে লাশ ভেসে উঠে। তখন এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠিয়ে দেন। নিহত ভাশানীর গ্রামের বাড়ি শিংপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাটির ইসলামপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।