নির্বাচনের হাওয়া ভাঙ্গুড়ার দুই ইউনিয়নে

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দুই ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই উপজেলার নির্বাচনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন ও মন্ডতোষ ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে শুরু হয়েছে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থিতা নিয়ে আলোচনা, ব্যাপক আলোচনা। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়মিত উঠান বৈঠক করে চলেছেন। ক্ষমতাসীন দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের একাধিক নেতা ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত নির্বাচনে পরাজয় বরণ করা একাধিক প্রার্থী ছাড়াও বেশ কয়েকজন নতুন মুখ ইউপি চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আছেন। আবার কেউ কেউ দলীয়ভাবে সমর্থন লাভের আশায় উপজেলা নেতাদের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন সম্ভাব্য প্রার্থী এমন যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, আব্দুর রশিদ (বর্তমান চেয়ারম্যান), নুর ইসলাম মিন্টু, আফছার আলী মাস্টার, সাজ্জাদুর রহমান তারেক, মামুনুর রশিদ। তবে এখনই অন্যান্য দলের তেমন কারও নাম শোনা যায়নি। অপরদিকে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের সম্ভাব্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বেলাল হোসেন খাঁন (বর্তমান চেয়ারম্যান), গোলাম ফারুক টুকুন, জাহাঙ্গীর আলম বিদু্যৎ। তবে চূড়ান্ত নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আরও কারা কারা আসতে পারে সেদিকে এখন সবার দৃষ্টি। প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ধারা ২০ এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ১০-এর অনুসারে নির্বাচন কমিশনার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সময়সূচি নির্ধারণ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ হবে ২০ অক্টোবর। মূলত নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া এই দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পালে বাতাস লাগতে শুরু করেছে। চায়ের স্টলগুলোতে আলোচনা চলছে কে কে হতে পারেন আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী।