মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রোববার মধ্যরাতে ও সোমবার বিকালে ভবনটির অর্ধেক অংশ নদীতে চলে যায়। বাকি অর্ধেক ভাঙনের মুখে রয়েছে। ভবনটির কয়েকটি পিলারের মাটি গত ১০ দিন পূর্বেই নদীর মধ্যে চলে গেছে। তখন নদীর মধ্যেই দাঁড়িয়েছিল ভবনটি।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও নদীভাঙনের মুখে রয়েছে। এর আগে ওই এলাকার একটি তিনতলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে ইউনিয়নটির কাজীরসুরা বাজার। এ ছাড়াও ইতোপূর্বে চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদীসংলগ্ন কাজীরসুরা এলাকা। বিস্তীর্ণ এ জনপদে কয়েক বছর ধরে পদ্মার ভাঙনকবলিত হয়ে আসছিল। বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে এসে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদী ভাঙন শুরু হলে ভিটেমাটিহারা হয় অসংখ্য পরিবার। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়নবোর্ড ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও স্রোতের তীব্রতার কারণে তা সফল হয়নি।
বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন বেপারী বলেন, গত রাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির অর্ধেক নদীতে পরে গেছে। পদ্মার ভাঙনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং বাজার।
