রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়ায় ২ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
হত্যা মামলার পৃথক রায়ে রাজবাড়ীতে ভাবী হত্যার দায়ে দেবরকে ও কুষ্টিয়ায় চা দোকানিকে হত্যার দায়ে ভাতিজাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: রাজবাড়ী:রাজবাড়ীতে ভাবী পারভীন বেগমকে হত্যার দায়ে দেবর হামেদ আলী মন্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত হামেদ আলী রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের মলিস্নকপাড়া গ্রামের মৃত কেসমত আলীর ছেলে। মৃত পারভীন বেগম একই গ্রামের হাসেম মন্ডলের স্ত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৯ আগস্ট তারিখে পারিবারিক কলহের জের ধরে পারভীন বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির ল্যাট্রিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন ১০ আগস্ট তারিখে নিহতের ভাই মো. খোকন বাদী হয়ে দেবর হামেদ আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সদর থানার চা দোকানি মিঠুন হোসেন হত্যা মামলায় তার ভাতিজা শিমুল হোসেনকে (৩২) যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও শিমুলের স্ত্রীসহ অপর দুই আসামিকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত শিমুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়ার মৃত মওলা মন্ডলের ছেলে। ১০ বছর করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শিমুল হোসেনের স্ত্রী সাথী বেগম (২৫) ও একই এলাকার খয়বার আলী প্রামাণিকের ছেলে সবুজ হোসেন (২৪)। এ মামলায় লিটন হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও খয়বার আলী প্রামাণিককে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।