ফুলবাড়ীতে সরব আওয়ামী লীগ বিএনপি, অস্তিত্ব সংকটে জাপা

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

মো. রজব আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
আসন্ন পৌর ও ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে পালে হাওয়া লেগেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর থেকে বাদ পড়েনি দিনাজপুরের 'রাজনৈতিক রাজধানী'খ্যাত ফুলবাড়ী উপজেলা। স্থানীয় সরকারের পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হিসাব-নিকাশ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তারা সরকারের ইমেজ ধরে রাখার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জনে করোনা দুর্যোগের শুরু থেকে সরকারের পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রমে সরব হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে দলের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পৌর কমিটিগুলো নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল বলেন, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জনগণকে অবহিত করার পাশাপাশি, জনগণের আস্থা অর্জনে জনকল্যাণমূলক কাজ করছেন তারা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা দুর্যোগের শুরু থেকে জনগণের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ সাংগঠনিক ঘরোয়া বৈঠক ও অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি নীরবে করে নিচ্ছে দলটির স্থানীয় কমিটি। ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি বলেন, নির্বাচনের জন্য নয়- দলীয় শক্তি বৃদ্ধি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দলকে সুসংগঠিত করা হচ্ছে। তবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে জাতীয় পার্টি। এ অঞ্চলের জাতীয় পার্টির প্রধান নেতা সাবেক মন্ত্রী হাজী মনসুর আলী সরকার গত ২০০৭ সালে দলবল নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে দলটি। এরপর দলের কিছু নেতাকর্মী নতুন করে জাতীয় পার্টি গঠন করলেও গত ২০১৫ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তার অনুসারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এতে আরও একবার ভাঙনের মুখে পড়ে ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টি। গত ২০১৮ সালে পার্টির সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ সরকার তার অনুসারীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করায় আবারও অস্তিত্ব সংকটে পড়ে দলটি। এরপর সামিউল ইসলামকে সভাপতি ও সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের কোনো ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায় না। জাতীয় পার্টির সভাপতি সামিউল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত পার্টির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা কোনোরকম যোগাযোগ করেননি। এমনকি কোনো চিঠিপত্রও কেন্দ্র থেকে আসে না। এ কারণে তারা কোনো কার্যক্রম করছেন না। তবে ফুলবাড়ীতে নীরব ভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে থাকা জামায়াতের অফিসটি খোলা হলেও তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকলেও জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।