পাঁচ জেলায় কলেজছাত্রসহ ৫ জনের অস্বাভাবিক মৃতু্য

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দেশের পাঁচ জেলায় কলেজছাত্র ও গৃহবধূসহ পাঁচজনের অস্বাভাবিক মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহ, ঢাকার সাভার, জয়পুরহাট, বাগেরহাট ও নওগাঁর রানীনগরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আউশিয়া গ্রামে নিখোঁজের পাঁচদিন পর সুজন হোসেন (২১) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামের সেচ পাম্পের ঘর থেকে মাটিচাপা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুজন হোসেন আউশিয়া গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী জিলস্নুর রহমানের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার বিকালে বাড়ি থেকে কীটনাশক ও সার কেনার জন্য শৈলকুপা বাজারে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার স্বজনরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনার পরপরই সাকিব ও নাজমুল নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে হৃদয় নামে আরও একজনকে আটক করে। তার দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রানীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রানীনগরে মর্জিনা বিবি (৪৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর মৃতু্য হলে ওই রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চকাদীন আলোপাড়া গ্রামে। মর্জিনার ভাই এনামুল হক বলেন, তার বোন মর্জিনাকে একই গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ছাবর আলীর সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারে দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভগ্নিপতি ছাবর আলীর খবর দেয়, তার বোন অসুস্থ। খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন মর্জিনা মারা গেছে। এর কিছু পরই ছাবর আলীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সাভার : সাভারে তুরাগ নদী থেকে অজ্ঞাত (৩৩) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বিরুলিয়ার সাদুল্যাপুর তুরাগ নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, রাতে সাভারের সাদুল্যাপুর তুরাগ নদীতে অজ্ঞাত এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে আশুলিয়া থানা নৌপুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে আশুলিয়া ফাঁড়ির এসআই ময়নাল হোসেন বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা ৪-৫ দিন আগে হত্যা করে তুরাগ নদীতে কচুরি পানার নিচে লাশ গুম করে পালিয়ে যায়। তার গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। জয়পুরহাট : নিখোঁজের দুদিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীর হাট এলাকার হারাবতী নদী থেকে আবু হোসেন নামে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ওই ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহত আবু হোসেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাঁদোয়া ঢোলপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। ওসি জানান, বুধবার বিকাল আবু হোসেন ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ভ্যানচালকের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দুদিন আগে অটোভ্যানটি ছিনতাইয়ের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ প্রথমিকভাবে ধাররণা করছে। বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় চা-দোকানদার আবু হানিফ ফকিরের লাশ বৃহস্পতিবার উপজেলার ভাটখালি এলাকার একটি খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হলে নিহতের ভাই আ. সালাম ফকির জানান, বুধবার রাতে হানিফকে কে বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবর আসে, ভাটখালি খালে তার মৃতদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তার শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। দুর্বৃত্তরা হানিফকে কুপিয়ে হত্যার পর খালে ফেলে রাখে। নিহত আবু হানিফ মোরেলগঞ্জ উপজেলার খারইখালী গ্রামের মৃত হোসেন আলী ফকিরের ছেলে। শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেহ থানায় মামলা করতে আসে নেই।