কক্সবাজারে লবণ ও চিংড়িচাষিদের উন্নয়নে আর্টেমিয়া চাষ

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

জাবেদ আবেদীন শাহীন, কক্সবাজার
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আর্টেমিয়া চাষ পদ্ধতির গবেষণা শুরু হয়েছে। এ চাষ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে দেশের লবণ ও চিংড়ি চাষিদের ভাগ্য বদলে যাবে। লবণের পাশাপাশি আর্টেমিয়া চাষ হলে চাষিরা একদিকে ন্যায্যমূল্য, অন্যদিকে আর্টেমিয়া তথা চিংড়ি পোনার খাবার উৎপাদন করে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন। এতে করে লবণ চাষিদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। চিংড়ি খাত থেকে মৎস্যজীবীরা ব্যাপক লাভবান হবেন। বিদেশ থেকে আর্টেমিয়া আমদানি করতে হবে না। দেশেরও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত 'আর্টেমিয়া ফর বাংলাদেশ' প্রকল্পের অধীনে গত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের কলাতলিতে দুই দিনব্যাপী 'কক্সবাজারের লবণ খামারে আর্টেমিয়া চাষ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ' শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে। কর্মশালায় ওয়ার্ল্ডফিশের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. বিনয় কুমার বর্মন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের ডিজিএম মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, কক্সবাজারের জৈষ্ঠ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাকিয়া হাসান উপস্থিত ছিলেন। আর্টেমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের টিম লিডার ড. মুহাম্মদ মীজানুর রহমান বলেন, দেশে লবণ খামারে আর্টেমিয়া চাষ অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত, যা সম্ভব হলে দেশের মৎস্য সেক্টরে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতি বছর চিংড়ি হ্যাচারিতে ব্যবহারের উদ্দেশে ৪০ মেট্রিক টন আর্টেমিয়া আমদানি করা হয়। কক্সবাজারে আর্টেমিয়া চাষ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ হলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। আর্টেমিয়া হলো এমন এক ধরনের জলজ ক্ষুদ্র জীব যা অধিক ঘনত্বের লবণ পানিতে চাষ করা হয়। সারা বিশ্বে এটি মাছ ও চিংড়ির খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছে।