বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়ে অকাল বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি :উদ্বিগ্ন কৃষক

মন্তোষ চক্রবর্তী, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংযোগস্থল বিস্তীর্ণ হাওড় অঞ্চলে অকালে অস্বাভাবিক বন্যা দেখা দিয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্রতিদিন নদীর পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় অকাল বন্যায় কয়েক হাজার আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও শাক-সবজির খেতগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, দেখা দিয়েছে নানা রকম ঠান্ডাজনিত রোগ।

হাওড় অধু্যষিত কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, হবিগঞ্জের আজমেরিগঞ্জ, লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর, সরাইল উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা, কালনী কুশিয়ারা, করাইত্তা কলকলিয়া, ধলেশ্বরী ঘোড়াউত্বা নদীসহ শাখা নদী প্রবাহিত হয়ে একাধিক নদী বঙ্গোপসাগরে মিলেছে। হাওড় অঞ্চল নিচু ভূমির। এই হাওড় অঞ্চলগুলোয় রয়েছে অগণিত নদী, বিল-বাদার। বর্ষার পানি এলে এই অঞ্চলে নৌ চলাচল শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে অস্বাভাবিকভাবে শরতের শেষ দিকে এই অকাল বন্যায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। অকাল বন্যায় প্রায় কয়েক হাজার একর আমন ধান তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এবং অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

জানা যায়, এক সময় এই হাওড় উপজেলাগুলোয় আমন ধানই ছিল কৃষকদের জীবন রক্ষাকারী একমাত্র ফসল। পরবর্তীতে ১৯৬৫-৬৬ সালে অধিক ফসল ফলাও অভিযানে এ উপজেলায় প্রথম উচ্চ ফলনশীল বৈদেশিক বীজে ইরি-বোরোর উৎপাদন শুরু হয় এবং উৎপাদিত জমিতে প্রতি একরে ৫০-৬০ মন ধান হতো বলে একাধিক কৃষক জানান।

কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল আলম জানান, কিশোরগঞ্জের ৩টি উপজেলায় রোপা আমন আবাদ হয়েছে ২২৮০ হেক্টর আর নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৮০০ হেক্টর। তবে তিনি বলেন বর্তমানে ধানটা যে অবস্থানে আছে যদি পানি সরে যায় তাহলে আর সমস্যা হবে না। তবে কৃষকরা বলছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তার ৩ গুণ বেশি হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<113573 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1