তিন জেলায় ৩ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দেশের তিন জেলায় ৩ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যশোরের মনিরামপুরে কিশোরের, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে গৃহবধূর এবং মেহেরপুরের গাংনীতে ভিক্ষুকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- মনিরামপুর (যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে আজমীর হোসেন (১৩) নামের এক কিশোরের লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজমীর মনিরামপুর উপজেলার গোপিকান্তপুর গ্রামের আকরাম বিশ্বাসের ছেলে। স্থানীয় জয়নুল আবেদীন নামে এক শিক্ষক জানান, কিশোর আজমীর হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এক ডোবার পানিতে তার লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহজাহান আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। স্থানীয় লোকজনের দাবি কিশোর আজমীরের মৃতু্যটা রহস্যজনক। শাহরাস্তি (চাঁদপুর) : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল হাসপাতালে নিহত ওই গৃহবধূর ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা মুঠোফোনে জানান, ওই রাতে চান্দিনায় তাদের নিজ গ্রাম গাজী বাড়িতে রিয়া মনির দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউপির ইছাপুরা গ্রামের নলুয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতে পুলিশ রিয়া মনির মরদেহ উদ্ধার করে শাহরাস্তি থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, কুমিলস্না জেলার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউপির কৈলান গ্রামের পূর্ব গাজী বাড়ির আলী হাসানের কন্যা হাবিবা আক্তার রিয়ার (২০) সঙ্গে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের নলুয়া বাড়ির হারুনুর রশিদের পুত্র মহিউদ্দিনের (২৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর একের পর এক যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে হারুনুর রশিদের পরিবার। দাবি অনুযায়ী দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করলেও উপর্যুপরি যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে হাবিবা আত্মহননের পথ বেছে নেন। গাংনী (মেহেরপুর) : নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ভিক্ষুক জহুরা খাতুনের (৭০) মরদেহ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ভিক্ষুক জহুরা খাতুন গাংনী উপজেলা রাইপুর গ্রামের বাসিন্দা। জহুরা খাতুনের ভাগ্নে নাজমুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি বাজারে বাসের সঙ্গে ভ্যানের দুর্ঘটনায় ভিক্ষুক জহুরা খাতুন আহত হন। দুর্ঘটনার পর একজন ভ্যানচালক খলিশাকুন্ডি থেকে গাংনীর রাজা ক্লিনিকে জহুরা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ক্লিনিক থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হলে ভ্যানচালক জহুরা খাতুনকে নিয়ে সরে পড়েন। এর পর থেকেই অনেক জায়গায় খোঁজ করেও ভ্যানচালক ও জহুরাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ব্বরে জহুরার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।