সময় পেরুচ্ছে কার্যাদেশের শুরু হয়নি ব্রিজের কাজ

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সীমাহীন দুর্ভোগ ও অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীকে। জানা যায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চৌরাস্তায় নাগরপুর-সলিমাবাদ সড়কের ব্রিজের নির্মাণকাজ উদ্বোধনের ১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে। কার্যাদেশের শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের নভেম্বরে কাজটি শেষ করার কথা। অথচ কাজ শুরুই করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটি উপজেলা সদরের অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সলিমাবাদ ও বেকড়া ইউনিয়নসহ চৌহালী উপজেলার হাজার হাজার পথচারী ও ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। ৫৪ মিটার চেইন এজ ১৫ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডাইভারশন (বিকল্প) সড়ক না করেই পুরানো ব্রিজটি ভেঙে নিয়ে যায়। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। পরবর্তীতে সাময়িক চলাচলের জন্য বাঁশের (পাটাতন) সাঁকো তৈরি করা হয়। বাঁশের এ সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের হাজারও পথচারী যাতায়াত করেন। রাতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী অহরহ ছোট-বড় যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান মিন্টু যায়যায়দিনকে জানান, 'করোনার কারণে পাথর সংগ্রহ করতে না পারায় কাজ করা সম্ভব হয়নি।' উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান জানান, 'কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে আমরা চাপ দিচ্ছি। বর্তমানে বন্যার কারণে পাইলিং করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ওই সময় পাথর না পাওয়ায় কাজটি শুরু করা যায়নি।' তবে দ্রম্নত সময়ের মধ্যে কাজটি শুরু করা হবে বলে জানান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান।